নতুন করে উইন্ডোজ দেওয়ার পরে করনীয়
নতুন করে উইন্ডোজ ইন্সটল করার পরে অনেকেই একটু দিশেহারা হয়ে পরে কিসের পরে কি করবে। অনেক সময় অন্য সব কিছুর দিকে নজর দিতে গিয়ে অনেক কাজের জিনিস মিস হয়ে যায়। তাই একটা শর্ট লিস্ট তৈরি করা যায় যাতে সেটা ফলো করে অনেক ঝামেলা এড়ানো যেতে পারে। এই লিস্টে আমরা এন্টিভাইরাস
সলিউশান,
মিডিয়া
প্লেয়ার,
ড্রাইভার,
অফিস
টুলস
এবং
আরও
বেশ
কিছু
দিকে
নজর
দেবো।
বাংলাদেশে
এখনো
অনেকেই
উইন্ডোজ
৭
ব্যবহার
করে।
তাই
আমরা
এই
লিস্টটাকে
এমনভাবে
তৈরি
করবো
যাবে
উইন্ডোজ
৭
থেকে
উইন্ডোজ
১০
এর
ব্যবহারকারীরা
এই
লিস্টের
সুফল
পেতে
পারেন।
আরেকটা
গুরুত্ব
পুর্ন
বিষয়
হলো,
আমরা
পাইরেটেড
সফটওয়্যার
এড়িয়ে
চলার
নীতিতে
বিশ্বাসী।
তাই
এই
লিস্টের
সব
সফটওয়্যার
ফ্রি
কিংবা
ওপেন
সোর্স।
এবং
এ
বিষয়ে
নাক
কুঁচকানোর
আগেই
বলে
রাখি,
এগুলো
এর
প্রিমিয়াম
কাউন্টারপার্টের
চেয়ে
কোন
অংশে
কম
না।
এর
সাথে
আমরা
এটাও
মাথায়
রাখবো
যে
বাংলাদেশে
এখনো
অনেকেই
লিমিটেড
নেট
কানেকশন
ব্যবহার
করে।
তাই
স্ট্যান্ড
এলোন
বা
ফুল
প্যাকেজড
সফটওয়্যার
এর
দিকে
নজর
দেবো
আমরা
বেশি।
নতুন করে উইন্ডোজ ইন্সটল করার পরেই প্রথমেই আপনার যেটা দরকার হবে, সেটা হলো ড্রাইভার।
উইন্ডোজ
৭
থেকে
মাইক্রোসফট
উইন্ডোজ
এর
ভেতরেই
বেসিক
ড্রাইভার
দিয়ে
থাকে।
অনেক
প্রো
/ পাওয়ার
ইউজারদের
জন্য
সেটা
যথেষ্ট
না।
অনেকেই
অফিশিয়াল
ড্রাইভার
ব্যবহার
করতে
চান।
এ
ব্যাপারে
জাতিতে
এর
আগেও
একটা
পোষ্ট
লেখা
হয়েছে।
এই
পোষ্টটি
অনুসরণ
করে
ড্রাইভার
নিয়ে
ঝামেলা
এড়াতে
পারেন।
উইন্ডোজ এ ডিফল্ট ব্রাউজার হিসাবে আছে ইন্টারনেট
এক্সপ্লোরার
( যাকে
নিয়ে
ডেভেলপাররা
প্রায়ই
রাতে
দুঃস্বপ্ন
দেখেন
) ।
উইন্ডোজ
১০
এ
এজ
ব্রাউজার।
আমাদের
প্রথমে
দরকার
শক্তিশালী
একটা
ব্রাউজার।
আপনার
ব্যবহার
এর
অভ্যাস
এর
ওপর
নির্ভর
করছে
আপনি
কি
ধরনের
ব্রাউজার
চান।
তবে
জাতি
শুধুমাত্র
মজিলা
ফায়ারফক্স
এবং
গুগল
ক্রোম
রিকমেন্ড
করে
দৈনিক
ব্যবহার
এর
জন্য।
ব্রাউজার এর পর আপনার দরকার প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা।
এন্টিভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন
এখনো পর্যন্ত সাধারণ উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের
সবচেয়ে
বেশি
ঝামেলায়
পড়তে
হয়
ভাইরাস
এবং
ম্যালওয়্যার
জনিত
সমস্যার
কারণে।
প্রায়
প্রতিদিনই
কেউ
না
কেউ
কোথাও
না
কোথাও
অভিযোগ
করে
ভাইরাস
বা
ম্যালওয়্যার
নিয়ে।
চারেদিকে
অসংখ্য
প্রিমিয়াম
এন্টিভাইরাস
এবং
ম্যালওয়্যার
প্রোটেকশন
স্যুট
আছে।
এভিরা,
অ্যাভাষট,
ক্যাসপারস্কি
ইত্যাদি।
আপনি
যদি
নতুন
কম্পিউটার
কিনে
থাকেন,
তাহলে
অনেক
সময়
মাদারবোর্ডের
ড্রাইভার
ডিস্কের
সাথে
একটা
এন্টিভাইরাস
দেওয়া
থাকে।
তবে
এখানে
আমরা
সব
কিছু
একটু
নতুন
করে
চিন্তা
করবো।
অনেকেই টাকা দিয়ে অ্যান্টিভাইরাস
কিনতে
চান
না।
পাইরেটেড
কপি
ব্যবহার
করেন।
সমস্যা
হল,
পাইরেটেড
এন্টিভাইরাস
কোন
কাজের
না।
কেউ
যদি
আপনাকে
বলে
থাকে
পাইরেটেড
এন্টিভাইরাস
কোন
কাজে
আসে,
তাহলে
সে
কিছুই
জানে
না।
এন্টিভাইরাস
চালানোর
সবচেয়ে
বড়
দুইটি
ক্রাইটেরিয়া
হল,
নিয়মিত
আপডেট
করা
এবং
আপনার
কম্পিউটার
এর
কনফিগারেশন
বুঝে
এন্টিভাইরাস
ব্যবহার
করা।
পাইরেটেড
এন্টিভাইরাস
এ
এর
দুইটির
কোনটারই
সুযোগ
নেই।
আমরা ফোকাস করছি মাইক্রোসফটের
নিজস্ব
প্রটেকশন
সার্ভিস
উইন্ডোজ
ডিফেন্ডার
এর
ওপর।
অনেকেই
একে
ডিফল্ট
জিনিস
মনে
করে
ইগনর
করেন,
কিন্তু
বাস্তবে
এটি
যথেষ্ট
ভালো
একটি
এন্টিভাইরাস
প্রটেকশন
সার্ভিস।
উইন্ডোজ
৭
ব্যবহারকারীদের
জন্য
Microsoft Security Essentials ডাউনলোড করে
নিতে হবে এই লিংক থেকে, বাকিরা Control Panel এ গেলেই পাবেন উইন্ডোজ ডিফেন্ডার।
এটিকে
আপডেট
করে
নিন,
কাজ
শেষ।
এর সাথে একটা ম্যালওয়্যার
প্রটেকশন
সার্ভিস
রাখাটা
খুব
জরুরী।
বাংলাদেশে
সবচেয়ে
বেশি
কম্পিউটার
আক্রান্ত
হয়
পেন
ড্রাইভ
কিংবা
মেমরি
কার্ড
থেকে
আসা
ভাইরাস
এর
কারণে। এ নিয়ে জাতিতে আরেকটি বিস্তারিত
পোষ্ট
আসবে,
কি
কি
করা
উচিৎ
এবং
কি
কি
করা
উচিৎ
না
কম্পিউটার
কে
সুরক্ষিত
করার
জন্য।
মিডিয়া প্লেয়ার
মিডিয়া প্লেয়ার খুব গুরুত্বপুর্ন
একটা
সার্ভিস।
আপনি
আমি
আমরা
সবাই
গান
শুনি,
মুভি
দেখি।
এ
জন্য
একটা
ভালো
মিডিয়া
প্লেয়ার
থাকা
দরকার।
প্রিমিয়াম
কিংবা
ফ্রি,
যেখানেই
যান,
জাতির
মতে,
VLC মিডিয়া
প্লেয়ার
এর
মতো
প্লেয়ার
আর
একটিও
নেই।
অসাধারণ
এই
প্লেয়ার
অলমোষ্ট
সব
ধরনের
মিডিয়া
ফাইল
সাপোর্ট
করে,
সেই
সাথে
ষ্ট্রিম
করে
দেখা
সব
অনলাইন
রেডিও
প্লে
করার
সুবিধে
আছে।
সাথে আলাদা ভাবে গান শোণার জন্য উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি একটু বেশি ভালো কোয়ালিটি কিংবা সার্ভিস চান, Winamp ব্যবহার করতে পারেন। WinAmp অনেক পুরনো একটা সফটওয়্যার
হল
এখনো
নিয়মিত
আপডেট
হয়
এবং
প্রো
মিউজিক
লাভারদের
অন্যতম
চয়েস
এর
একটা।KMP, POT PLAYER
অফিস টুলস
বাংলাদেশে
বেশিরভাগ
মানূষই
মাইক্রোসফট
অফিস
ব্যবহার
করে
অভ্যাস্ত।
এবং
তার
প্রায়
৯৮%
ই
পাইরেটেড।
এখানে
নতুন
করে
কিছু
বলার
নেই,
তবে
চাইলে Open Officeকিংবা libre Office ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মাইস্ক্রোসফট
অফিস
এর
চেয়ে
কোন
অংশে
কম
না,
বরং
ক্ষেত্র
বিশেষে
ব্যাকওয়ার্ড
কম্প্যাটিবিলিটি
অনেক
বেশি। Microsoft Office2017,Microsoft office2010, Microsoft office2013,Microsoft office2016
ফটোভিউয়ার
অফকোর্স আপনার পিসিতে আপনি ছবি দেখবেন, হালকা পাতলা এডিট ও করতে পারেন। জাতি ফটো ভিউ এবং হালকা পাতলা এডিট এর জন্য Google Picasa ব্যবহার করতে
পারেন।
বাংলা কীবোর্ড — অভ্র কিবোর্ড
আসলে অভ্র কিবোর্ড নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার ইতিহাস সৃষ্টি করা এই সফটওয়্যার এর ব্যাপারে কিছু বলার আসলে সুযোগ নেই। এই পোষ্টটিও অভ্র কীবোর্ড দিয়ে লেখা
আপনার প্রিয় বা দরকারি কোন সফটওয়্যার বাদ পড়েছে? কমেন্টে জানান আমাদের।
0 Comments