ডিপ্লোমা পাসে চাকুরি পেতে যেভাবে তৈরী করবেন নিজেকে

ডিপ্লোমা পাসে চাকুরি পেতে যেভাবে তৈরী করবেন নিজেকে

প্রিয় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী, আশা করছি সকলে ভালো আছ। তোমরা ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবার পর অনেকেই বুঝতে পারো না কি করে সময়কে ব্যবহার করা উচিত, অনেক ক্ষেত্রে তোমরা সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা পেয়ে থাকনা। অনেকেই ডিপ্লোমা ভর্তি হবার পরেই ভেবে থাকে যে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার চাকরি অভাব হবে না।

এ ভাবনাগুলো সম্পূর্ণ ভূল। বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী বেকার। বর্তমানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার চাকরি পেতে হলে তুমাকে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তোমার ভিতর এক্সট্রা কিছু থাকতে হবে।

মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি, ভাইবাতে সম্ভাব্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন যা আপনার জেনে রাখা উচিত পড়ুন
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা মানেই শুধু থিউরি (পাঠ্য-পুস্তক) নয়, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনায় থিউরি ও ব্যবহারিক জ্ঞান দুটোতেই ভালো হতে হবে। এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা পাশ করার সাথে সাথে চাকুরী পাচ্ছে আবার অনেকেই পাশ করার ২য় বছর বা ৩য় বছর বা আরো পরে চাকুরী পাচ্ছে। যারা পাশ করবার সাথে সাথে চাকুরী পাচ্ছে তারা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক সচেতন ছিল। একারনে নিজের ক্যারিয়ার সম্বন্ধে আগেই সচেতন হওয়া উচিত।

পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে যা করতে হবেঃ
১। ব্যবহারিক ক্লাস বা কাজগুলো অবশ্যই মনযোগ সহকারে পড়তে হবে।
২। প্র্যাকটিক্যাল ব্যাপারগুলোতে ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। এগুলো এড়িয়ে গেলে সবচাইতে বড় ক্ষতিটি নিজেরই হবে।
৩। পলিটেকনিক গুলোতে বিভাগের অধীনে কিছুদিন পর পর ছোট ছোট বেসিক কোর্স অল্প টাকায় করানো হয় সেগুলো করে ফেলা।
৪। বড়দের সহায়তায় নিজের বিষয়ভিত্তিক কাজসমূহ কোথায় শিখলে ভালো হবে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা উচিত।
৫। পলিটেকনিকের মেধাবী সিনিয়রদের অনুসরণ করা তারা কি করছে জানা এতে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়বে।
৬। পড়াশোনার পাশাপাশি সম্ভব হলে নিজের বিষয়সমূহের উপর পার্টটামই চাকুরির করা উচিত। এতে প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা অনেক বাড়বে। তাছাড়াও কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো মানের স্কিল তৈরি করা। ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা।

ভালো সিজিপিএ যে ভাবে পাওয়া যায়ঃ
১। সর্বদা স্যারদের সাথে ভালো আচরণ করা উচিত, কেননা স্যারদের কাছে প্র্যাকটিক্যাল মার্ক থাকে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২। ক্লাসে ভালোভাবে না বুঝলে স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়ুন, এতে নিজের স্কিল বাড়বে এবং স্যারদের সাথে ভালো সম্পর্ক হতে সাহায্য করবে।
৩। বিভিন্ন ধরনের প্রোগামে যোগদান করা, এতে স্যারদের নজরে আসতে সাহায্য করে থাকে।
৪। শিক্ষকদের কাছে নিজেকে ফোকাস রাখা, এতে স্যাররা স্মরণ রাখে।

Post a Comment

0 Comments